ডিআইজি মিজানের জামিন নামঞ্জুর, পুলিশে হস্তান্তর
তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন আদালত। এছাড়া তাঁর ভাগ্নে উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত বলেন, ডিআইজি মিজান পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, ডিআইজি মিজানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী।
এর আগে হাইকোর্টে আসেন ডিআইজি মিজান। দুপুর ২টার দিকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার পর শুনানি হয়। শুনানি শেষে তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ জন্য রমনা থানা পুলিশের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন করেন মিজানুর রহমান। তাঁর পক্ষে আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
গত ১৯ জুন মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছিল দুদক। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মিজানুর রহমান।
গণমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরপর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন, রেকর্ডকৃত বক্তব্যে তাঁর কণ্ঠ নকল করে বানানো। আর এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পৃথক অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক।