ক্র্যাচে ভর দিয়ে আদালতে মির্জা আব্বাস
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস এবং তাঁর স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ ক্র্যাচে ভর দিয়ে আদালতে আসেন মির্জা আব্বাস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও নেতাকর্মীরা।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। সে জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আজ ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েসের আদালতে মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আগামী ১৯ আগস্ট পর্যন্ত তাঁদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন শাহজাহানপুর থানায় এ মামলা করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বর্ণনা পাওয়া গেছে, তা আসলে তাঁর স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত সম্পদ। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজার নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টের তথ্যে বলা হয়েছে, তিনি একজন গৃহিণী। নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস তাঁর নেই।
মামলায় আফরোজা আব্বাস তাঁর ‘অবৈধভাবে অর্জিত’ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দালিলিক প্রমাণবিহীন ‘ভুয়া’ ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে মির্জা আব্বাস টাকার মালিক হন বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।