এনটিভির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি : প্রধানমন্ত্রী
দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির ১৭ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে শুভেচ্ছাবাণী দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি ১৬তম বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি এনটিভির পরিচালনা পর্ষদ, সাংবাদিক, কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বাণীতে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই দেশে প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দিই। আমাদের সরকার রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য আমরা ২০০৯ সাল থেকে গণমাধ্যম, তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে টেলিভিশনকে শুধু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখলে চলবে না। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে দেশের মানুষের উন্নত মনন গঠনে এবং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানা অপতৎপরতা দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অবদান রাখতে হবে। আমরা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিণত করব—ইনশাআল্লাহ।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা আশা করেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এনটিভি সঠিক তথ্য-উপাত্ত পরিবেশন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচার ও রুচিশীল অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে আমাদের দেশজ শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।’
এনটিভির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ৩ জুলাই গণমাধ্যম দুনিয়ায় পদার্পণ করে এনটিভি। সাফল্যের ১৬ বছর পূর্ণ করেছে জনপ্রিয় এই চ্যানেলটি।