গাজীপুরে স্পিনিং মিলের গুদামে মিলল দগ্ধ আরো ৩ লাশ
গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় অটো স্পিনিং মিলের তুলা ও সুতার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ সকালে আরো তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট চারজন নিহত হলেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় লাগা এই আগুন ১১ ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৮টি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নয়নপুর এলাকার অটো স্পিনিং মিলের তুলার গুদামে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় ফায়ার অ্যালার্ম বেজে উঠলে কারখানার কর্মীরা হুড়োহুড়ি করে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের শ্রীপুর, জয়দেবপুর ও ভালুকা স্টেশনসহ ১৮টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পানি সংকট ও কারখানার অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। বিকেলে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পানি সংকটের কারণে আগুন আবারো ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
আগুন নেভাতে গিয়ে ওই কারখানার শৌচাগারের ভেতরে আটকা পড়েন নিরাপত্তাকর্মী রাসেল মিয়া (৪৫)। আগুনের লেলিহান শিখার কারণে সেখান থেকে বের হতে না পেরে ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শৌচাগারের ভেতরেই মারা যান তিনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেয়াল ভেঙে লাশ উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। রাসেল মিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উলুন এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই কারখানার কোয়ার্টারে থেকে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন।