নারায়ণগঞ্জে ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাই স্কুলে ২০ ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনার পর এবার ফতুল্লার এক মাদ্রাসায় ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আল আমীনকে গ্রেপ্তার করেছে। আর এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা ধর্ষকের ফাঁসি দাবি করেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাই স্কুলে ধর্ষণের ঘটনার টেলিভিশন সংবাদের ভিডিও ক্লিপ এক র্যাব কর্মকর্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ওয়ালে দেখে টনক নড়ে ফতুল্লার মাহমুদপুর বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর। এরপর ওই ছাত্রী তার মাকে জানায়, প্রধান আল আমীন একাধিকবার তাকে যৌন নিপীড়ন করেছে। মায়ের মাথা তখন চরকগাছ। বিষয়টি নিয়ে তিনি র্যাব কর্মকর্তার ফেসবুক ওয়ালে যোগাযোগ করলে ছাত্রীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে র্যাব।
এর আগে ওই ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের কথা মাকে না জানালেও মাদ্রাসায় যেতে অনীহা দেখাত। র্যাব তাকে কৌশলে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে শিকার আটকাতে গোয়েন্দা জাল বিছায়। আর সেই জালেই বৃহস্পতিবার শিকার ধরা পড়েন প্রধান শিক্ষক আল আমীন।
এদিকে আটক বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মাওলানা আল আমীন গণমাধ্যমের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। তিনি ১০-১২ জনের বেশি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।’
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক কাজী শমসের আলী জানান, একজন নারীর অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণের নাম ও তথ্য পাওয়া যায়। ডেক্সটপে পর্নগ্রাফি ছবি দেখিয়ে ও ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আল আমীন।
গত মাসের ২৭ তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড় এলাকায় অক্সফোর্ড হাই স্কুলের অন্তত ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।