রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীতে সড়ক অবরোধ, ভোগান্তি
কুড়িল-সায়েদাবাদসহ রাজধানীর তিনটি প্রধান সড়কে রিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন রিকশাচালকরা।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কুদ্দুস ফকির জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রামপুরা রোডে বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন কয়েকশ রিকশাচালক। এ ছাড়া উত্তর বাডা ও বাড্ডা ইউলুপের নিচেও সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা দেন রিকশাচালকরা।
গুরুত্বপূর্ণ তিন সড়কে রিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষুব্ধ রিকশাচালকদের।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক অবরোধের কারণে রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, কুড়িল ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী যাত্রী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। বাধ্য হয়ে অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
দুপুর ১২টার দিকে ওসি আবদুল কুদ্দুস ফকির জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা রিকশাচালকদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
এদিকে মুগদা থানার ওসি জানান, দাবি আদায়ের জন্য সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে মানববন্ধন করেন রিকশাচালকরা।
বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত তানজিনা ইসলাম বলেন, ‘যানবাহন না থাকায় বাধ্য হয়ে হেঁটেই উত্তর বাড্ডা থেকে নিউ সার্কুলার রোডে অফিসে আসতে হয়েছে। অফিস পৌঁছাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে।’ তিনি জানান, রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না আন্দোলনরত রিকশাচালকরা।
এর আগে গতকাল সোমবারও মুগদা, মানিকনগর, মাণ্ডা, বালুর মাঠ ও কমলাপুর টিটিপাড়ায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।
গত ৩ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে প্রধান করে গঠিত বিশেষ কমিটির বৈঠকে রাজধানীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও বড় সড়কে ৭ জুলাই থেকে রিকশা চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সড়ক তিনটি হলো কুড়িল থেকে রামপুরা হয়ে সায়েদাবাদ, গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর এবং সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে শাহবাগ।
রাজধানীর যানজট কমানোর লক্ষ্যে ঢাকার সড়ক থেকে অবৈধ গাড়ি সরানো ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্দেশ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।