দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর সিটির ১৪ কর্মকর্তাকে শাস্তি
অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের নকশা পাস, ফাইল আটকে মেয়র ও কাউন্সিলরের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলীসহ ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন মেয়র।
আজ মঙ্গলবার সকালে নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য জানান।
মেয়র জানান, সিটির হিসাবরক্ষণ বিভাগ ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, নিয়মবহির্ভূতভাবে নগরী এলাকায় বাসা ও ফ্যাক্টরির ভবন নির্মাণের নকশা পেছনের তারিখ দিয়ে পাস করে দেওয়ার অভিযোগে সহকারী প্রকৌশলী মো. মোজাহিদুল ইসলাম, ফাইল আটকে মেয়র/কাউন্সিলরের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে লাইসেন্স কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামালকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মাহাবুব আলম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব জহির আলম, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. আক্তার হোসেন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মাহাবুবুর রহমান, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. নাদিম হোসেন ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের সচিব মো. মুক্তার হোসেনকে ফাইল আটকে মেয়র বা কাউন্সিলরের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিটি করপোরেশনের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, কর নির্ধারণ কর্মকর্তা আতাউর রসুল ভূইয়া, অফিস সহায়ক সোহেল, কর আদায় সহযোগী কালাম, জমি জরিপ শাখার সাইফুল ও কর নির্ধারণ সহযোগী কামরুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র আরো জানান, ট্যাক্স, পানি ও বিদ্যুৎ শাখার অপর পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য সরকার প্রায় সাত হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। তিনি এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি গাজীপুর সিটিকে গ্রিন সিটি ও ক্লিন সিটিতে পরিণত করতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নগরবাসী সবার সহযোগিতা কামনা করেন।