কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এল ৬ লাশ
ভোরের দিকে সৈকতে ভিড়ল একটি মাছ ধরার ট্রলার। সেখানে মিলল ছয়জনের লাশ। আজ বুধবার ভোরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ওই ট্রলারটি পাওয়া যায়। এ সময় দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, নিহতরা সবাই জেলে। এখন পর্যন্ত নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। জীবিতরা হলেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওয়াজউদ্দিনের ছেলে জুয়েল (৩৫) ও মোহাম্মদ মনির হোসেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) জিল্লুর রহমান জানান, আজ ভোররাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়া যায়, মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবন্ত অবস্থায় সৈকতে আটকা পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়। এ সময় ছয়জনের মৃতদেহ ও দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটি ডুবে যায়। মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার হওয়া দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান এসপি।
পুলিশ জানায়, নিহতদের শরীরে কোনো ধরনের কাপড়চোপড় ছিল না। তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পচন ধরেছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফখরুল জানান, আজ ভোরের দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভাঙাচোরা ওই মাছ ধরার ট্রলারটি ভেসে আসার খবর পাওয়া যায়। পরে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রলারের আশপাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় চারজন ও ট্রলারের পাটাতনের ওপর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এএসপি ফখরুল বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি। এটি বাংলাদেশের না মিয়ানমারের সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’