উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই নদীর পানি ৪২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে এরই মাঝে সদর, বেলকুচি, চৌহালি, কাজিপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের নিম্নাংশ প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পৌর এলাকার পুঠিয়াবাড়ি ও চরমালশা পাড়া এলাকার বাঁধের নিম্নাংশের অধিবাসীদের ঘর-বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব মানুষ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে নদীতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সদর, কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর এলাকা ব্যাপকহারে নদীভাঙনের মুখে পড়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে এসব এলাকার চরাঞ্চলের মানুষ উচু বাঁধ ও অন্যান্য স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। এ ছাড়া দ্রুত পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘যমুনাতে পানি বাড়লেও এখন পর্যন্ত চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে তা প্রবেশ করেনি। তবে বাঐখোলা এলাকায় ভাঙন রয়েছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।’

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সতর্কতা জানিয়ে বলেন, ‘যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ যমুনা নদীর পানি ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।’

বন্যার আগাম প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ‘যমুনাতে পানি বাড়ছে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রাখা রয়েছে।’