নৌকায় করে শুনানিতে গেলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অংশ নিতে নৌকায় করে আদালতে গেলেন তাঁর আইনজীবীরা।
আজ রোববার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে নাইকো দুর্নীতির মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া, আব্দুল খালেক মিলন ও আব্দুর রহিম শুনানির জন্য সদরঘাট থেকে নৌকায় করে সেই আদালতে যান।
এ বিষয়ে হান্নান ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বর্তমানে খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত কেরানিগঞ্জ আদালতে যাওয়া খুব ঝামেলা। রাস্তা ভাঙা থাকায় কোনো গাড়ি জজকোর্ট থেকে যেতে চায় না। তাই সদরঘাট থেকে নৌকায় করে কেরাণীগঞ্জে যেতে হয়। সেখান থেকে সিএনজি বা হেঁটে আদালতে যেতে হয়।’
হান্নান ভূঁইয়া আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকায় আজ এ মামলার শুনানিতে তাঁকে আদালতে হাজির করেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তাই বিচারক মামলার শুনানির জন্য আগামী ৪ আগস্ট নতুন দিন ধার্য করেছেন।’
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।
পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।