বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদের স্পিকারের পক্ষ থেকেও।
সংসদ সদস্য কিংবা বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে এরশাদ জাতীয় সংসদে গিয়েছেন বহুবার। আজ সোমবার যান শেষবারের মতো; তবে কফিনবন্দি হয়ে। বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার আগে স্বামীর রুহের মাগফিরাত কামনায় সবার কাছে দোয়া চান রওশন এরশাদ।
জানাজায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
পরে এরশাদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রতি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘একজন সামরিক শাসক রাজনীতিবিদ হয়ে তিনি তাঁর দল পরিচালনা করেছেন এবং বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে অমায়িক ব্যবহারের মানুষ ছিলেন। তিনি বিনয়ী ছিলেন, মার্জিত ছিলেন।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাসবিদরা সত্যি কথা বলতে পারবেন। সাহস দেখাতে পারবেন। তখন যে ইতিহাস লিখবে, সেই ইতিহাসে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম ওপরেই থাকবে।’
জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সাবেক রাষ্ট্রপতিকে।
বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে এরশাদের মরদেহ। আগামীকাল মঙ্গলবার রংপুরে জানাজা শেষে ওই দিন বিকেলে দাফন করা হবে বনানী সামরিক কবরস্থানে।
সেনাশাসক থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা বহুল আলোচিত-সমালোচিত এইচ এম এরশাদ বেশ কিছুদিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোববার সকালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান।