অর্থ আত্মসাৎ : আজিজ কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান কারাগারে
প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুই দফায় তাজুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১০ জুলাই পুলিশের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি) তাজুল ইসলামকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন ১১ জুলাই তাজুল ইসলামকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠায় সিএমএম আদালত। এরপরে ১৪ জুলাই ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম তাঁকে একদিনের রিমান্ডে পাঠান। সে রিমান্ড শেষ হলে আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে তাজুল ইসলামকে হাজির করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সুফিয়া আক্তার নামের ভুক্তভোগী এক নারী মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের কারণ দেখিয়ে মামলা করেন। আসামিরা হলেন আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম (৬২), ব্র্যাঞ্চ কন্ট্রোলার ও ব্যবস্থাপক লাকী খাতুন (৩২), শাখা ব্যবস্থাপক মো. দ্বীন মোহাম্মদ (৪২), নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন (৩৫) ও ব্যাংকের উপদেষ্টা মো. নুরুন্নবী (৬৫)।
এজাহার সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর থেকে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের নবাবপুর শাখা অফিসে বিভিন্ন মেয়াদে সুফিয়া আক্তার মোট ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩৫ টাকা জমা রাখেন। বিশেষ প্রয়োজনে সুফিয়া আক্তার ২০১৮ সালের ১৭ নভেম্বরসহ বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে গিয়ে গচ্ছিত টাকা উঠাইতে গেলে নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন সুফিয়া আক্তারকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘টাকা নেই, কোথা থেকে দেব?’
এজাহার সূত্রে জানা যায়, এরপর ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম ও ব্র্যাঞ্চ কন্ট্রোলার ও ব্যবস্থাপক লাকী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওনা টাকা ফেরত চান সুফিয়া আক্তার। তখন তাঁরা দুজনই টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টালবাহানার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ঘোরাতে থাকেন। তখন তাঁরা সুফিয়া আক্তারকে শাখা ব্যবস্থাপক মো. দ্বীন মোহাম্মদ ও ব্যাংকের উপদেষ্টা মো. নুরুন্নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর দ্বীন মোহাম্মদ ও মো. নুরুন্নবী সুফিয়া আক্তারকে বারবার সময় দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৬ মার্চ আসামিরা টাকা দেবে না জানিয়ে সুফিয়া আক্তারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরপর প্রথমে সংশ্লিষ্ট রমনা থানায় সুফিয়া আক্তার মামলা করতে যান। পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ করে। এরপর তিনি বংশাল থানায় মামলা করেন।