জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণের দাবিতে হোসেনপুরে বিক্ষোভ
ব্যক্তিগত মাছের খামার নির্মাণের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণের দাবিতে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরো বড় আকারে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গাংগাটিয়া গ্রামে কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর সড়কে কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন বয়সী কয়েকশ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মিছিলকারীরা পরে মানববন্ধন করে।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, স্থানীয় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে এবং পানি নিষ্কাশনে ব্যবহৃত প্রচলিত বিভিন্ন নালা অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দিয়ে চার মাস আগে দেড় একর জমির ওপর একটি মাছের খামার নির্মাণ করে। এর ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে গাংগাটিয়া, কেশেরা, দক্ষিণ গোবিন্দপুর, টেকুরিয়া, হরিচন্দ্র পট্রি ও সৈয়দপুর এ গ্রামগুলোর প্রায় পাঁচ হাজার বাসিন্দা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া হাট-বাজারসহ প্রাত্যহিক কাজে স্থানীয় নারী-পুরুষদের পানির মধ্যে কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছে। অনেক এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং কিছু বসতবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সৈয়দপুর গ্রামের সাবেক সেনাসদস্য কামাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর, গাংগাটিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী সোহেল রানা, কেশেরা গ্রামের কৃষক সিদ্দিক হোসেন, গাংগাটিয়া গ্রামের গৃহবধূ চম্পা রাণী, সাবিত্রী রাণী ও রিনা রাণী পাল।
এ বিষয়ে কথা বলতে হেলাল উদ্দিনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি গাংগাটিয়া বাজারে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়েও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর আন্দোলন কর্মসূচির কথা জানতে পেরে মৎস্য খামারের মালিক হেলাল উদ্দিনকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেছেন। তিনি আসার পর গ্রামবাসীকে নিয়ে হেলালের সঙ্গে কথা বলে মানুষের দুর্ভোগ লাগবে দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।