শেরপুরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত
টানা বর্ষণ ও ভারতীয় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে গেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব উপজেলার বহু পরিবার।
এসব এলাকার রাস্তাঘাট, রোপা আমন বীজতলা, সবজিক্ষেত এবং কাঁচা ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ।
ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর, ধানশাইল, মালিঝিকান্দা ও হাতিবান্ধা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় হাজার পাঁচেক পরিবার রয়েছে এখন পর্যন্ত পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। মূলত ভারতের উজান থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে স্থানীয় সোমেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙে এসব এলাকা প্লাবিত হয়।
এদিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীতে পানি বেড়ে এবং পাহাড়ি ঢলে বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মরিচপুরান এলাকায় ভোগাই নদীর প্রায় ৭০০ ফুট বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে সেখানকার সাতটি গ্রাম।
অপরদিকে জেলার নকলা উপজেলায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর শাখা মৃগি নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন থেকে বাঁচতে অনেকেই অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং বাড়িঘরের জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। গণপদ্দী, নকলা, উরফা, বানেশ্বরদী, অষ্টধর, পাঠাকাটা ও গৌড়দ্বার ইউনিয়নে অনেক ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ধানের বীজতলা ও সবজিক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বিপুল পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ডিডি-এলজি) এ টি এম জিয়াউল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। যেখানে যেমন প্রয়োজন সে অনুযায়ীই কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।