বাড্ডায় গণপিটুনিতে নারী নিহত : ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তসলিমা বেগম রেনু নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার নিহতের বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন। আজ রোববার বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নাসির উদ্দিন এজাহারে বলেছেন, হঠাৎ অনেকেই তসলিমা বেগম রেনুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হলে তিনি নিহত হন। স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, পথচারীসহ স্থানীয় অনেকেই তাঁকে হত্যা করেছে।’
গতকাল শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার সড়কে ছেলেধরা সন্দেহে তসলিমা বেগম রেনু নামের ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তসলিমা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ‘উত্তর বাড্ডায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে একটি মাদ্রাসা। সেখানে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনজন বোরকা পরিহিতা নারী যান। তাঁরা বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় সন্দেহ হলে কয়েকজনের বাধার সম্মুখীন হন ওই তিন নারী। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে দুজন নারী পালিয়ে গেলে অন্যজন গণপিটুনির শিকার হন।’
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছেলেধরা সন্দেহে এক নারী গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। খবর পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।