ছেলেধরা সন্দেহে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, তিনজন রিমান্ডে
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে চারদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে গ্রেপ্তার আসামি বাচ্চু (২২), মো. বাপ্পী (২৮) ও মো. শাহীনকে (২০) হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেককে চার দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. জাফর (১৮) নামের একজন সিএমএম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান উপকমিশনার। তিনি আরো জানান, আসামি বাচ্চুকে আজকে সকালেই গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়। বাকিরা গতকাল রোববার গ্রেপ্তার হন।
এর আগে বাড্ডা জোনের সহকারী উপকমিশনার এলিন চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুতগতিতে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ভিডিও ফুটেজ, স্কুলের শিক্ষকসহ স্থানীয়দের আমরা নজরে রেখেছি। হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য সবদিক বিবেচনা করে আমরা সামনে যাচ্ছি। আশা করছি, দ্রুতই এই হত্যাকাণ্ডের জট খুলবে।’
গত শনিবার সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডার বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে তাসলিমাকে হত্যা করে স্থানীয়রা। স্কুলটিতে নিজের চার বছরের মেয়ের ভর্তি করানোর জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন তাসিলমা।
এ সময় স্কুলের গেটে তাঁর পরিচয় জানতে চান সেখানে অবস্থান করা কয়েকজন অভিভাবক। পরে তাঁকে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে নিয়ে গেলে কে বা কারা এলাকায় ছড়িয়ে দেয় স্কুলে একজন ছেলেধরাকে আটক করা হয়েছে। এরপর স্থানীয় কয়েকশ মানুষ স্কুলের গেট ভেঙে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে টেনে হিঁচড়ে এনে পেটাতে শুরু করে। পুলিশ তাসলিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। রাজধানীর মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। তাঁর ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ছেলেটি বাড্ডায় বাবার সঙ্গে থাকে।