ভুয়া ফেসবুক আইডি নিয়ে দুই মাস আগেই জিডি করেন ব্যারিস্টার সুমন
ভুয়া ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে দুই মাস আগেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন। এ ছাড়া এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইমেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। জিডি ও অভিযোগে ব্যারিস্টার সুমন ভুয়া আইডির ব্যবহার বন্ধ আবেদন করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আবুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শাহবাগ থানায় গত ২৮ মে ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন একটি জিডি করেছিলেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
গত ২৮ মে ২০১৯ তারিখে শাহবাগ থানায় করা জিডিতে ব্যারিস্টার সুমন উল্লেখ করেছিলেন, ‘আমি নিম্মে স্বাক্ষরকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি মাত্র আইডি ব্যবহার করি। এ আইডির অধীনে দুটি ফেসবুকে পেইজ ব্যবহার করি। এগুলো ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার কোনো আইডি বা ফেসবুক পেইজ নেই। একটি দুষ্ট চক্র আমার নামে বিভিন্ন আইডি এবং ফেসবুক পেইজ খুলে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে, যা ডিজিটাল আইনের পরিপন্থী। নিম্নবর্ণিত ফেইসবুক পেইজ আমার না। এ মর্মে চারটি আইডির তালিকা জমা দেন।’
জিডিতে সুমন উল্লেখ করেন, ‘আমার অজ্ঞাতসারে অন্য কোনো আইডি বা ফেসবুক পেজ থাকলে এগুলো ডায়েরিভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এ ছাড়া ব্যারিস্টার সুমন’ নামে করা ভুয়া ফেসবুক আইডি বন্ধে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম কর্তৃপক্ষ বিটিআরসিকে চিঠি দিয়ে জানায়।
এর আগে গতকাল সোমবার ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন গৌতম কুমার নামের এক ব্যক্তি। বহুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ঘটনা লাইভ করে আসছেন। খারাপ ভালো মিলিয়ে তিনি উত্তেজিত জনতার মধ্যে প্রিয় পাত্রে পরিণত হয়েছেন’ বলে আরজিতে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী গৌতম কুমার।
বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামশ জগলুল হোসেনের আদালতে বাদী গৌতম কুমার তাঁর আইনজীবী সুমন কুমার রায়ের মাধ্যমে ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে এ লিখিত অভিযোগ করেন।
বাদী গৌতম অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘ব্যারিস্টার সুমন সনাতন ধর্ম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মিথ্যা, অশ্লীল ও চরম আপত্তিকর মন্তব্য করেন। যার ফলে হিন্দু সমাজ ও গোটা জাতির মধ্যে এ বিষয় নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আসামির এ রকম আচরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অশ্লীল অবমাননাকর ও অরুচিপূর্ণ বক্তব্যর ফলে রাষ্ট্র ও হিন্দুসমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আসামির এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানের ফলে সাধারণ জনগণ নীতিভ্রষ্ট, অসৎ হতে উদ্যত হওয়ার ফলে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে।’