দশম শ্রেণির ছাত্রদের দিয়ে জেএসসি পরীক্ষা!
বরগুনার বামনা উপজেলার জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বুকাবুনীয়া মহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার তিন ভুয়া জেএসসি পরীক্ষার্থী ও মাদ্রাসা সুপারকে আটক করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকালে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহবুবুর রশীদ উপজেলা সদরের ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে এ অভিযান চালান।
আটক তিন পরীক্ষার্থীর নাম অলিউল ইসলাম (১৫), মো. সাব্বির (১৫) ও মো. হাসিবুর রহমান। আটক তিন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে তাদের বহিস্কার করা হয়। এছাড়া ভুয়া পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার দায়ে মাদ্রাসা সুপার মো. নজরুল ইসলামকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার এমপিও টিকিয়ে রাখতে তিন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেন মাদ্রাসা সুপার নজরুল ইসলাম।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বুকাবুনীয়া মহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে মোট ২০জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার ফরম পূরণ করে। এদের মধ্যে ১০ জন পরীক্ষার্থী এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই ১০ জনের মধ্যে দশম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার্থী সাজিয়ে ফরম পূরণ করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বুকাবুনীয়া মহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার এমপিও বাতিল হতে পারে এমন আশঙ্কায় দশম শ্রেণির তিনজনকে পরীক্ষার্থী সাজানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মো.ইউনুস আলী জানান, মাদ্রাসার সুপার ও তিন পরীক্ষার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত সুপারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে।
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মাহবুবুর রশীদ জানান, অভিযুক্ত সুপারকে পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটি থেকে বহিষ্কার ও তিন শিক্ষার্থীকে জরিমানা আদায় করে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া সুপার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যববস্থা নিতে বরগুনার জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।