কক্সবাজারের ২ ইউপিতে আ.লীগ, একটিতে স্বতন্ত্র
কক্সবাজার জেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর ভোট শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। এদিন আরো তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্যের পদে ভোট গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ছয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৫০ ভাগ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী আট হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ফরিদুল আলম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪৭ ভোট।
একই উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে উপনির্বাচনে ৭২৫ ভোট পেয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল করিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ মোহাম্মদ আলী ১০ হাজার ৯২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৩৩০ ভোট।
একই উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ১, ২ ও ৩ আসনে উপনির্বাচনে মাইক প্রতীক নিয়ে দুই হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে শাহেনা রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদে উপনির্বাচনে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আ. ন. ম শহীদ উদ্দিন ছোটন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চার হাজার ২৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৌহিদুল ইসলাম খোকন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন তিন হাজার ৬৪৮ ভোট। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম এক হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ৪, ৫, ও ৬ আসনে উপনির্বাচনে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী দুই হাজার ১৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন তিনজন বিচারিক হাকিম, ১১ জন নির্বাহী হাকিম নিয়োজিত করে। এ ছাড়া নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্য মোতায়েন ছিল।