ময়মনসিংহে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত
ময়মনসিংহে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের তিন শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
গত বুধবার বিকেলের দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় আকস্মিক বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার অংশজুড়ে ভাঙন শুরু হয়।
বাঁধ ভাঙনের ফলে সদরের চর গোবিন্দপুর, চর জেলাখানা, দুর্গাপুর, বারের চর ও চর সিরতা ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভালো অংশে আশ্রয় নিয়েছে। কারো কারো ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছে, হঠাৎ বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকার ঘরবাড়িগুলোতে এখন গলা পর্যন্ত পানি। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের খোঁজ নেয়নি। তারা দুঃখ-কষ্টের মধ্যে বেড়িবাঁধে বিনিদ্র রাত যাপন করছে। আগামী বন্যায় যাতে মানুষকে বানের পানিতে ভাসতে না হয় তা মাথায় নিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাঁধ মেরামতের জোর দাবি জানিয়েছে তারা।
এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন বাঁধটি সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম শফিকুল ইসলাম বাঁধ মেরামতের কাজ তদারকি করছেন।
এ প্রকৌশলী বলেন, প্রায় ১৮ বছর আগে ২০০১ সালে ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে আর বড় ধরনের কোনো বন্যা না হওয়ায় বাঁধ সংস্কারে কোনো তৎপরতা ছিল না। প্রায় ২০ বছরের ব্যবধানে এবারের বন্যায় পানি বৃদ্ধির পরিমাণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে ফলে বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়।
বাঁধ সংস্কারে চার হাজারের মতো জিও ব্যাগ প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানান প্রকৌশলী। প্রয়োজনে আরো জিও ব্যাগ লাগলে সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।