ঢাকার বাইরেও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ কেবল ঢাকায় নয়, ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকার বাইরেও। প্রতিদিনই চিকিৎসা নিতে বিভিন্ন হাসপাতালে আসছে রোগীরা।
ফেনীতে ডেঙ্গু রোগ প্রকট আকার ধারণ করেছে। আজ শনিবার ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে ২৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। গত কয়েকদিনে ফেনী সদর হাসপাতালে ৬০ জন রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ৩৪ জনকে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিধান চন্দ্র সেন গুপ্ত জানান, প্রতিদিনই বহির্বিভাগে ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে, তাদের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ফেনী সদর হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে। ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে গত ১৫ দিনে ৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন।
এদিকে বরগুনায় এ পর্যন্ত ১০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল। এদের মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে বর্তমানে চারজন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জিকু শীল বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দশজনকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করেছি আমরা। এদের মধ্যে ছয়জন অতি সম্প্রতি ঢাকা থেকে বরগুনায় আসে।’
এদিকে রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছেন এক নারী চিকিৎসক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
এবার বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী প্রতি ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ৫৬০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতাগুলোতে ভর্তি হচ্ছে।
চিকিৎসদের মতে, গতবারও ডেঙ্গুতে প্রায় আট হাজার জন আক্রান্ত হয়েছিল। এতে ২৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। তখন থেকে ডেঙ্গুর ব্যাপারে আরো সচেতন হওয়া জরুরি ছিল। এখন হাইকোর্টের নির্দেশনাতেও মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হচ্ছে না।