এডিস মশা নির্মূলে রেডিয়েশন প্রযুক্তি
এডিস মশা নির্মূলে এবার রেডিয়েশন প্রযুক্তি প্রয়োগের কথা ভাবছে সরকার। গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে পুরুষ এডিস মশাকে বন্ধ্যাকরণের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকায়। এভাবেই মশার বিস্তার রোধ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
দেশজুড়ে এখন ডেঙ্গু আতঙ্ক। দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পদ্ধতি অবলম্বন করে মশা বন্ধ্যাকরণের কাজ শুরু করেছে ঢাকার সাভারে অবস্থিত পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
নতুন এ পদ্ধতি সম্পর্কে খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শেখ মাহফুজা মোমেন বলেন, মশা নিয়ে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে চায়নাতে তারা সফল হয়েছে। যেটা এডিস আলভোভিক্টাস এই ডেঙ্গু ভেক্টাস কিন্তু তারা কন্ট্রোল করতে পেরেছে।’
পরিবেশবান্ধব এই প্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকর এবং এ প্রযুক্তির প্রয়োগ করে চীনে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে বলে জানাচ্ছেন এখানকার বিজ্ঞানীরা।
খাদ্য ও বিকীরণ জীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাজলা সেহেলি বলেন, ‘পুরুষ মশাকে বন্ধ্যাকরণ করা হবে। ওই মশা যখন স্ত্রী মশার সঙ্গে মিলিত হবে এবং সেটা থেকে যে ডিম হবে তা থেকে কোনো বাচ্চা ফুটবে না। সুতরাং এখানে কিন্তু আমরা মশাটাই ব্যবহার করছি। মশা দিয়েই আমরা মশার বংশ বিস্তার রোধ করছি।’
বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা সরেজমিন দেখতে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
প্রযুক্তিটি দ্রুত মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নেচারালি পাইলট প্ল্যান করে একটা অঞ্চলকে ধরে এগুব। আমাদের প্রত্যেকটা জেলায় এক একটা সংগঠন আছে। দরকার হলে সেখানেও আমরা ল্যাব স্থাপন করে চেষ্টা করব সারা দেশের এই ধরনের মশাকে যেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।’
পুরুষ এডিস মশা মানুষকে কামড়ায় না। তাই বিকীরণ পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে পুরুষ মশাকে বন্ধ্যাকরণের মাধ্যমে কমিয়ে আনা হবে মশার প্রজনন। আর এটা সম্ভব হলে মাঠ পর্যায়ে এমনিতেই ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।