‘রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রজাদরদি’
রবীন্দ্র গবেষক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভরর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডারের মূল্যবান বিষয়টি হওয়া দরকার রবীন্দ্রনাথ। তিনি গ্রাম বাংলা উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা ও চিকিৎসা বিষয়ে অনেক উন্নয়ন করেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রজা দরদি।
আজ মঙ্গলবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৮তম মহাপ্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নওগাঁর আত্রাইয়ের পতিসরে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. আতিউর রহমান। কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘একা খেলে পেট ভরে। আর দশে খেলে আত্মীয়তা বাড়ে। মুক্তিযুদ্ধে আমরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আর স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীন ভাবে বসবাস করতে পারছি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটী।
সঞ্জীব কুমার ভাটী বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের যে সূচনা হয়েছে তা রবীন্দ্রনাথের ধারণা থেকেই। কারণ তিনি প্রথম ঋণের ব্যবস্থা চালু করেন। প্রজাদের সুবিধার জন্য তিনি মূলত ঋণের ব্যবস্থা করেছিলেন।’
কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এম মতিউর রহমান মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহা. মোকবুল হোসেন, নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম, নওগাঁ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) লিমন রায়, আত্রাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এবাদুর রহমান প্রামানিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছানাউল ইসলাম, রাজশাহী বরেন্দ্র বান্ধব চেয়ারম্যান তপন কুমার সেন, কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান হাবিব প্রমুখ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তাঁর কর্মময় জীবনে ‘গ্রামোন্নয়ন ও সমাজ ভাবনা’সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। অনুষ্ঠানের আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।