দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পনেরো বছর আগে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় শ্রীলঙ্কার নাগরিক সুহারা উম্মা হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেন, আসামিদের সরাসরি জড়িত থাকায় এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা প্রমাণ হওয়ায় আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো। তবে মামলার অভিযোগে ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি।
রায়ে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাঁদের আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন সরকার ওরফে মফিজ এবং রংপুরের কাউনিয়া থানার মৃত আবুলের ছেলে আবু জাহের ওরফে জাহের খান। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া আবুল হোসেনকে একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জহিরুল ইসলাম ওরফে হাফিজ কুয়েত থাকাকালে শ্রীলঙ্কার নাগরিক সুহারা উম্মার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তাঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের একটি ছেলেসন্তান জন্ম লাভ করে। এর পর থেকে সুহারা উম্মা তাঁর ছেলে শাকিলকে নিয়ে শ্যামপুরের জিয়া সরণি গ্যাস রোডে বসবাস করতেন। ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুহারা উম্মার বাসায় তাঁদের ভাড়াটিয়া আবুল হোসেনের ভায়রা মফিজ ও তার এক বন্ধু যায়। পরে সুহারা উম্মাকে তারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় তাঁর দেবর আব্বাস আলী ২০০৪ সালের ২৮ জানুয়ারি শ্যামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক সোহেল আহমেদ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আর ফজুলল হক সরকার ওরফে হান্নান নামের এক আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলাটি বিচার চলাকালে ২২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।