রোহিঙ্গাদের আরো সাহায্য করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া
মানবিক সংকটে সাহায্য বাড়ানোর সার্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের জন্য চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছে।
বাংলাদেশে দুই দিনব্যাপী সফরের অংশ হিসেবে এই প্রতিনিধিদল গত ৬ আগস্ট কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা পরিদর্শন করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) জ্যেষ্ঠ পরামর্শকরা।
প্রতিনিধিদলটি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) পরিচালনাধীন নারীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প ‘উইংস’সহ নারী ও কিশোরী বান্ধবকেন্দ্র এবং নারীদের নিয়ে গঠিত বিভিন্ন কমিটির চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করে।
আইওএমের ট্রানজিশন অ্যান্ড রিকভারি ডিভিশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার প্যাট্রিক শেরিগনন বলেন, ‘কোরিয়ার এই পরিদর্শনের মাধ্যমে বোঝা যায় শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় সাহায্য এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে তাঁরা কতটুকু আগ্রহী। বাংলাদেশের ব্যাপারে কোরিয়ার এই আগ্রহকে আমরা স্বাগত জানাই। পাশাপাশি বাংলাদেশে কোরিয়ার ডিজিটাল আইল্যান্ডসহ বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্যের জন্য তাঁদের জানাই অভিনন্দন।’
ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার, আইওএম, কোরিয়া টেলিকম এবং কোইকার সম্মিলিত প্রচেষ্টার একটি অনন্য উদাহরণ। ২০১৭ সালে প্রায় ১৪ মাইল লম্বা ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে মহেশখালী দ্বীপ দেশের স্থলভাগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষার্থীরা ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে স্থলভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে।
এই প্রকল্পটির মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ই-কমার্সেরও সুবিধা পাচ্ছে। ই-মেডিকেল কনসালটেশন পাওয়ার মাধ্যমে দেশের স্থলভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে দ্বীপের রোগীরা যোগাযোগ করতে পারছে। মহেশখালীতে প্রয়োগ করা এমন প্রকল্প দেশের অন্যান্য দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া এলাকায় স্থাপন করারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়া বিশেষত লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপে সক্রিয় সহযোগিতা করে।