সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ
কোরবানির ঈদের আর মাত্র দুইদিন বাকি। তাই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঈদযাত্রায় চাপ বেড়েছে ঢাকার সদরঘাটে। আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে প্রায় ৬৩টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এ সময় অনেক লঞ্চের ছাদেও যাত্রী বহন করতে দেখা যায়।
সকালের দিকে সদরঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। এরপর থেকে ক্রমে বাড়তে থাকে যাত্রীদের চাপ।
অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে বুধবার থেকে ‘বিশেষ ডিউটি’ শুরু হয়েছে, চলবে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত। এ সময় যাত্রীদের সব ধরনের সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত। অপেক্ষমান যাত্রীদের জন্য বিশ্রামের সুবিধা রয়েছে, নারী যাত্রীদের জন্য আলাদা বিশ্রামের জায়গা রয়েছে। বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে জরুরি চিকিৎসাসেবাও।
বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ুন কবির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সকালের তুলনায় বিকেল ও সন্ধ্যায় যাত্রীর চাপ আরো বাড়তে পারে। তবে যাত্রী বেশি থাকলেও লোড লাইন অতিক্রম করেনি লঞ্চ। মনিটরিংয়ের অভাব নেই। আমাদের কর্মকর্তারা বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন, নামিয়ে দিচ্ছেন যাত্রীদের। প্রচুর যাত্রীর চাপ, তাই যাত্রীরা ছাদে উঠে যায়।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মওদুদ হাওলাদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সদরঘাট দিয়ে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৫৩ জন পুলিশ সদস্য পালা করে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। ৪৬টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দিয়ে পুরো এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
মহানগর পুলিশ ছাড়াও নৌপুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।
অপেক্ষমান যাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নারী যাত্রীরা। আমেনা আক্তার নামের একজন যাত্রী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বেয়ানে (সকাল) রেওয়ানা দিছি। গাজীপুর থেকে সদরঘাটে আইছি ১২টায়। আর এখন বাজে আড়াইটা। লঞ্চের কোনো খবর নাই।’
কোথায় যাবেন জানতে চাইলে আমেনা বলেন, যামু ঘোষেরহাট।
পোশাকশ্রমিক বশির যাবেন বরগুনার আমতলী। তিনিএনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সকাল ১০টায় সদরঘাট আসলেও এখন পর্যন্ত (দুপুর আড়াইটা) পর্যন্ত কোনো লঞ্চ আসেনি। পুরো পরিবারসহ এখন অপেক্ষা করতেছি।’
রাতুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বেতুয়া যাব। ১২টা থেকে অপেক্ষা করতাছি, ঘাটে কোনো লঞ্চ পায়চ্ছি না।’
ভোলা, লালমোহন, বেতুয়া, ঘোষেরহাট, আমতলীর অপেক্ষমাণ যাত্রী থাকলেও নেই কোনো লঞ্চ। যাত্রীতে সন্তুষ্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।