প্রবেশমুখে পশুর হাট, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, দনিয়া, শনির আখড়া, রায়েরবাগের রাস্তা ও এলাকাসহ প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে বসেছে কোরাবানির পশুর হাট। বর্তমানে পশুর হাট সড়ক থেকে এলাকার মধ্যে বিস্তৃত হয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর শনির আখড়া এলাকার প্রবেশমুখের দুই ধারে রাস্তা বন্ধ করে বসেছে পশুর হাট। এতে গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সসহ যানবাহন যেতে পারছে না। পশুর হাট বসায় গরুর মলমূত্রে রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাফেরা কঠিন হয়ে উঠেছে।
আলেয়া নামের এক নারী বলেন, ‘মেয়েটা দুদিন ধরে অসুস্থ। শনির আখড়ার পাশেই মাতুয়াইল হাসপাতাল। তাকে হাসপাতালে নেব। কিন্তু কোনো রিকশা শনির আখড়ার প্রধান সড়কে যেতে পারছে না। বাধ্য হয়ে হেঁটে যেতে চাইছি, কিন্তু সড়কের প্রবেশ গেটে গরু বেঁধে রেখেছে। মানুষই ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছে না। গাড়ি কীভাবে যাবে?’
আলেয়া আরো বলেন, ‘ভিড়ের মধ্যে মেয়েটাকে কোলে করে নেওয়াটাও অনেক বিপজ্জনক। ইজারাদাররা লোভের কারণে এভাবে মানুষকে ভোগান্তি দিচ্ছে। নির্দিষ্ট জায়গায় হাটের কথা থাকলেও তারা অতিলোভে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।’
শাহাবুদ্দিন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘একটা এলাকায় প্রবেশের প্রধান রাস্তা বন্ধ। ভাবুন কতটুকু অমানবিক তারা। প্রশাসনের লোক দাঁড়িয়ে আছে, অথচ তাদের সামনে দিয়েই হাট বসানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ না করুক, কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা আগুন লাগলে ইমার্জেন্সিতে অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি কীভাবে এলাকায় যাবে? এই এলাকায় অনেক মানুষ বসবাস করেন। ইজারাদারদের বিবেক দেখে অবাক হচ্ছি।’ অবিলম্বে গরু সরিয়ে প্রধান সড়ক খুলে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন শাহাবুদ্দিন।
হানিফ নামের এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, ‘শনির আখড়ায় গরু রাখার কোনো জায়গা নেই। অনেকে গরু রাখার জায়গা না পেয়ে রাস্তায় রাখছে। আমরা নিরুপায়। আমি নীলফামারী থেকে দুটি গরু এনেছি বিক্রির জন্য। এখন এখানে গরু না রাখলে কোথায় যাব?’
এ বিষয়ে ইজাদার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।