পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক
কাল ঈদ। এরই মধ্যে আজ রোববার প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি ও বাসের চাপ কমে এসেছে পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। ফেরি পারাপারের জন্য বাস কিছু সময় অপেক্ষা করলেও প্রাইভেটকারসহ ছোট যানবাহনের কোনো চাপ নেই ঘাটে।
মানিকগঞ্জ থেকে প্রতিনিধি সাব্বির সোহেল জানিয়েছেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি পারাপারের জন্য পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮০টি বাস অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসের চাপ নেই বলে জানান ঘাট-সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া পারাপারের অপেক্ষায় আছে দুই শতাধিক ট্রাক।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক তানভীর হোসেন জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ২০টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে পারাপারের জন্য স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে গতকাল পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহনের প্রচণ্ড চাপে ফেরি পারাপারের জন্য গাড়িগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
মুন্সীগঞ্জ থেকে প্রতিনিধি মঈনউদ্দিন সুমন জানিয়েছেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে আজ রোববার সকাল থেকে গাড়ির চাপ অনেকটা স্বাভাবিক।
আজ সকালে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলিম। তিনি জানান, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাটে দুই শতাধিক যাত্রীবাহী গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ আরো কমবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, সকাল থেকে লঞ্চঘাট ও সি-বোট ঘাটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ দেখা গেছে। চলাচলে কোনো সমস্যা পোহাতে হচ্ছে না। ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ যাচ্ছে না।