ঈদের দিনেও ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে মানুষ
পবিত্র ঈদুল আজহা আজ। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আজও রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেছেন অনেকে। শেষ সময়ে কোরবানির মাংস নিয়েও অনেকে যাচ্ছেন। আবার অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেরিয়েছেন ভ্রমণেও।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর, সায়েদাবাদের ফকিরবাড়ী ও গুলিস্তানের বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য দেন।
নাজমুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘গ্রামের বাড়ি রাউজানে। ঢাকায় পরিবার নিয়ে থাকি। সকালে ঈদের নামাজ পরে ও পশু কোরবানি দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। বর্তমানে বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তবুও আমি প্রতি ঈদে বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করি। আগামীকাল আবার রাজধানীতে ফিরে পরিবারকে সময় দেব।’
আল-আমিনের গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়, থাকেন ঢাকায়। তিনি গ্রামে যাচ্ছেন কোরবানির গরুর মাংস নিয়ে। আল-আমিন বলেন, ‘মাগুরাতে ভাইবোন ও চাচারা থাকেন। তাই মাংস নিয়ে যাচ্ছি সেখানে। মাংসও দিয়ে আসব, আবার সবার সঙ্গে একদিন থেকেও আসব।’
কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা মিজানুর রহমান বলেন, ‘গ্রামের বাড়ি যশোর। একটি স্বর্ণের দোকানে কাজ করি আমি। ঈদের রাতে দোকানে ছিলাম। ভোরে ছুটি পেয়েছি। তাই সকালের পরে বের হয়েছি। কয়েক দিন এলাকায় থেকে তার পর ফিরব।’
জিকু নামের আরেক যাত্রী বললেন, ‘সারা বছরই রাজধানীতে কোলাহলের মধ্যে থাকি। ঢাকায় নিজেদের বাড়ি। তাই ঈদের দিন বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে কক্সবাজার যাচ্ছি। আগামী শনিবার ফিরে অফিস ধরব।’
নোয়াখালীর মাইজদীর সুরুজ মিয়াও আজ বাড়ি যাচ্ছেন। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণে গতকাল গ্রামের বাড়ি যেতে পারি নাই। ১০ দিন বাড়িতে থাকব। ঢাকায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে মিরপুরে থাকি। আমাদের কাপড়ের ব্যবসা। ঢাকায়ও কোরবানি হয়, আবার গ্রামেও কোরবানি দিই। তাই ঢাকার কোরবানি শেষ করে গ্রামে যাচ্ছি।’
হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার রতন জানান, আজকেও অনেক যাত্রী বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন। নামাজের পরেই তাঁরা বাস টার্মিনালে আসছেন। তবে গাড়ির সিট ফাঁকা রেখেই গন্তব্যে যাচ্ছি।