‘চামড়া কিনতে যাইয়া গায়ের চামড়া নাই’
কয়েকবছর ধরে চামড়ার বাজার খারাপ হওয়ায় এবার কোরবানির ঈদকে ঘিরে রাজধানীতে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের তোড়জোড় ছিল কিছুটা কম। সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলি ঘুরে কম দামে চামড়া কিনলেও শেষ পর্যন্ত হিসেব মেলেনি অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ীর। আর নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।
রাজধানীর বিভিন্ন পাড়ামহল্লায় কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের তোড়জোড়ের রেওয়াজ থাকলেও এবারের চিত্র ভিন্ন।
চামড়া সংগ্রহকারী মৌসুমি ব্যবসায়ীদের একজন ফারুক। কম দামে চামড়া কিনতে না পেরে তাঁর সংগ্রহটাও কম। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে তাঁর বাড়তি সতর্কতাও খুব একটা কাজে আসেনি।
আড়তদার ও বিভিন্ন ট্যানারির এজেন্টরা বলছেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্ধারিত দামে কিনতে না পারায় অনেকই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে চামড়া সংগ্রহকারী এক ব্যবসায়ী জানালেন, ‘৬০০ থেকে ৭০০ কইরা কিনছিলাম। এখন সব গড়পরতা ৬০০ করে বেচতে হইতেছে। প্রায় প্রত্যেকটিতে ১০০ কইরা লস।’
পাড়ামহল্লা থেকে সংগ্রহ করা এসব চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে বসা অস্থায়ী বাজারে। আর এখান থেকেই আড়তদার ও বিভিন্ন ট্যানারির এজেন্টরা চামড়া কিনছেন বেশ যাচাই-বাছাই করে।
অন্যদিকে ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের সামনে বসা অস্থায়ী বাজারের এক এজেন্ট বলছিলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যদি স্কয়ার ফিটের মাপ হিসাব কইরা কিনতো, তাহলে তারা লসে পড়ত না। হুট কইরা একটা দাম বইলা কিইন্যা ফেলে। পরে লস হয়।
সেখানে অপর এক এজেন্ট বলছিলেন, ‘এই চামড়া কিনতে যাইয়া গায়ের চামড়া নাই। এই মৌসুমি ব্যবসায়ী যারা তারা বুঝবে না। এখন একজন ৮০ হাজার টাকা দিয়া গরু কিনসে তার কাছে যায় ৫০০ বা ৬০০ টাকা দাম কইলে তারা তো ধাক্কা দিবই। আমাগো কিছু করার নাই।’