শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘এক কোটি চামড়ার মধ্যে এ বছর ১০ হাজার পিস চামড়া নষ্ট হয়েছে। একটি দেশ যখন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যায়। তখন এটা ব্যাহত করতে একটি চক্র চক্রান্ত করে। এবারও ওই চক্র চক্রান্ত করেছে।’

আজ রোববার বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এক কোটি চামড়ার মধ্যে এবার দশমিক ৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়েছে। গরমের কারণেই এই ১০ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে।’

বৈঠকে দেনা পাওনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আড়তদাররা আগে কখনোই পাওনার বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এ ধরনের ব্যবসায়ীরাই মিডিয়াকে মিসগাইড করেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া শিল্প নিয়ে কোন সমস্যা নেই। চামড়ার বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে। এ নীতিমালার বিষয়েই আমরা আলোচনা করেছি। আগামি ২২ আগস্ট পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা ইতোমধ্যেই চামড়া কিনতে শুরু করেছেন। কিছু কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখানে কাজ করেছে। এগুলোর বিষয়ে আমরা সচেতন আছি।’

মাটিতে চামড়া পুঁতে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন চামড়া পুড়িয়ে বা মাটিতে পুঁতে ছবি দিলে আমাদের কিছু করার নেই।’ চামড়া রপ্তানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটা কাঁচামাল। রপ্তানি করা একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আমরা প্রয়োজন মনে করলে রপ্তানি করব।’