টাস্কফোর্স কমিটির জরুরি বৈঠক, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নেজামী সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। আনুষঙ্গিক যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে তা সম্পন্ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রোববার দুপুরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে টাস্কফোর্স কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে নুরুল আলম নেজামী এসব কথা বলেন।
নুরুল আলম নেজামী আরো বলেন, ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শেষ করেছি। এখন শেষ পর্যায়ের কাজ করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো এ কার্যক্রম আরো বাড়ানো হবে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, আরআরআরসির অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়ার কামালসহ সেনাবাহিনী ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা।
এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদে প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি। সে সময় উখিয়ার ঘুমধুম ও টেকনাফের নাফ নদের তীরে কেরণতলী (নয়াপাড়া) প্রত্যাবাসন ঘাট নির্মাণ হয়েছিল। এর মধ্যে টেকনাফের প্রত্যাবাসন ঘাটে প্যারাবনের ভেতর দিয়ে লম্বা কাঠের জেটি, ৩৩টি সেমিপাকা টিনের ঘর, চারটি শৌচাগার তৈরি করা হয়। সেখানে ১৬ আনসার ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।