যারা বেঁচে যাচ্ছে, তাদের আল্লাহই বাঁচাচ্ছে
এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের স্থায়ী পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। মশা নিধনের চলমান অভিযানে কোন ওয়ার্ডে কতজন কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা কখন যাচ্ছেন এবং কী কাজ করছেন তা বিস্তারিত জানাতে বলেছেন আদালত। এ ছাড়া, হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর পরিসংখ্যানও জানাতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশ দেন।
আদালতে শুনানিকালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান বলেন, মশা নিধনে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জনবল নিয়োগে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নতুন ওষুধ এনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ১১ আগস্ট থেকে নতুন ওষুধ ছিটানো শুরু হয়েছে। আজ থেকে আরো একটি ওষুধ ম্যালাথিওন ছিটানো শুরু হবে।
উত্তর সিটি করপোরেশনের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারা দেশে ছয় শতাংশ রোগী কমেছে।
আদালত বলেন, ‘সারা দেশে তো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। কমছে, সেটা পরিবেশের জন্য। ওষুধে কাজ হচ্ছে কি না, সেটা খোঁজ নিলেই বলা যাবে। আমরা দেখব, রোগী কমছে কি না। ডেঙ্গু প্রতিকারে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে তাতে কেউ বাঁচছে না। যারা বেঁচে যাচ্ছে, তাদের আল্লাহই বাঁচাচ্ছেন।’
এ সময় উত্তর সিটি করপোরেশনের আইনজীবী বলেন, রোগী কমছে। তার মানে ওষুধে কাজ হচ্ছে। আর কর্মীরা কাজে ফাঁকি দিচ্ছে কি না, সেটা তদারকির জন্য ট্র্যাকিং সিম দেওয়া হয়েছে তাদের।
আইনজীবী বলেন, এত ব্যাপক সংক্রমণ তো আগে কখনো হয়নি। এবারই হলো।
তখন আদালত বলেন, কেন হলো, এটা তদন্ত করা দরকার।
ঢাকা উত্তর সিটির আইনজীবী বলেন, ৪০ হাজার লিটার ওষুধ এসেছে। আরো ৪০ হাজার লিটার আসবে। ৫৪টি ওয়ার্ডকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে মনিটর করা হচ্ছে।
আদালত বলেন, কলকাতাসহ অন্যান্য শহরে সারা বছর কাজ চলে। আপনারা সারা বছরের জন্য কী পরিকল্পনা নেবেন, সেটা জানান।