মোজাফফর আহমদকে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
প্রথমে মোজাফফর আহমদের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীতে আজ আরো একটি জানাজা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আগামীকাল ন্যাপের সভাপতিকে নিয়ে যাওয়া হবে কুমিল্লায়। দেবীদ্বারে নিজের গ্রামের বাড়িতেই তাঁকে দাফন করা হবে।
বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ৯৮ বছর বয়সী অধ্যাপক মোজাফফর আহমদকে সম্প্রতি রাজধানীর বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার রাতে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট এই রাজনৈতিক সহচর।
আজ শনিবার সকালে ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিদ্দিকুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের প্রথম জানাজা আজ সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হওয়ার পর দুপুর ১২টায় তাঁকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠকের প্রতি। আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’
‘আগামীকাল রোববার মোজাফফর আহমদকে নিয়ে যাওয়া হবে নিজ জেলা কুমিল্লায়। সেখানকার টাউন হল ময়দানে মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে তাঁকে দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে’, যোগ করেন ন্যাপ নেতা সিদ্দিকুর রহমান।
মোজাফফর আহমদ ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লার দেবিদ্বারের এলাহাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ন্যাপ, সিপিবি এবং ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিন বছর আগে সরকার তাকে স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করলেও তিনি সবিনয়ে তা ফিরিয়ে দেন।