‘রোহিঙ্গা নিয়ে সরকার মিয়ানমারের কাছে নতি স্বীকার করেছে’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা মনে করি রোহিঙ্গার বিষয়ে সরকার সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমারের কাছে নতি স্বীকার করেছে, তারা(মিয়ানমার) যে ফর্মূলা দিয়েছে সেই ফর্মূলার কাছে সরকার নতি স্বীকার করছে।’
আজ শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সর্বশেষ যে, সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা শরাণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলে তার সমাধান হয়নি অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, তাদের নিরাপত্তা, তাদের নিজের সম্পত্তির মালিক হয়ে বাসভূমিতে ফিরে যাওয়া, তাদের সম্পত্তির মালিক হওয়া-এই বিষয়েগুলো নিশ্চিত হয়নি বলেই আস্থার অভাবে রোহিঙ্গারা চলে যায়নি।’
ফখরুল বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো কাজ না করে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মিয়ানমারের যে ফর্মূলা, তাদের যে ইচ্ছা সেটাকে পুরণ করবার জন্য সরকার কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে সরকারের ব্যর্থতাও দায়ী। আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি- আসলে এই সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’
রোহিঙ্গা সমস্যার কীভাবে সমাধান আসতে পারে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আগে বলেছিলাম যে, এই সমস্যার সমাধানে প্রথম হচ্ছে অলপার্টি ডায়ালগ করা। একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে ওইখান থেকে বেরিয়ে আসতো আমাদের কী করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রথমে দরকার ছিল সরকার প্রধানের সেই সমস্ত রাষ্ট্র সফর করা,হেড অব দ্যা স্টেটের সাথে দেখা করা যারা মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেটা সরকার করে নাই। এই রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো সফর বাংলাদেশের সরকার প্রধান বা বাংলাদেশের সরকারের কোনো প্রতিনিধিদল করেন নাই। মিয়ানমার যে ফর্মূলাগুলো দিচ্ছে সেগুলো তারা নিচ্ছেন। এখানে বোঝা যায় তারা বাংলাদেশের ইন্টারেস্টটা সেভাবে দেখতে ব্যর্থ হচ্ছে।’
২১ আগস্টের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের বক্তব্যকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক অভিহিত করে এরকম ‘মিথ্যাচার’ বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
এছাড়া আজকের বৈঠকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টর আদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।