ঘুমন্ত স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা, স্ত্রী পলাতক
স্বামী বাবুল আক্তার (৩৫) ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় তাঁর স্ত্রী লিমা আক্তার তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটায়। লাঠির আঘাত বাবুলের মাথায় লাগে। এ সময় বাবুলকে বাঁচাতে গেলে বাবুলের মা সোনেকা খাতুনকেও (৬০) লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পালিয়ে যায় লিমা।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবুল আক্তার। আজ শনিবার সকালে মিরপুরের একটি বাসায় ওই ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবুলকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় মারা যান বাবুল।
বাবুলের ছোট বোনের স্বামী ফারুক হোসেন জানান, বাবুল মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের ৯ নম্বর রোডে একটি বাসায় স্ত্রী লিমা আক্তার ও ছেলে জিয়ানকে (৫) নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
ফারুক আরো জানান, বাবুল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাকরি করতেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই স্বামী- স্ত্রী ঝগড়া লাগত। সকালে ঘুমিয়ে ছিলেন বাবুল। ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী লিমা বাবুলের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। মা সোনেকা খাতুন এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে বাবুল ও সোনেকাকে প্রথমে আগারগাঁও নিওরো সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান বাবুল। মা সোনেকাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমউজ্জামান জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর লাঠিপেটায় বাবুলের মৃত্যু হয়। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে আছে।