জামালপুরের ডিসির ভিডিও ফাঁসকারীদেরও শাস্তি দাবি
জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ও কর্মক্ষেত্রে সব কর্মীর নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের দয়াময়ী চত্বরে জামালপুর মানবাধিকার ও নাগরিক সুরক্ষা আন্দোলন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাংবাদিক হাফিজ রায়হান সাদা, শওকত জামান, নারীনেত্রী শামীমা খান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সম্প্রতি জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীর ও তাঁর গোপনীয় শাখার অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমীন সাধনার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি যারা এই ভিডিওটি ফাঁস করেছে তাদেরও আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
নারীনেত্রী শামীমা খান কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব কর্মীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি ও নারীরা যেন তার কর্মক্ষেত্রে কোনো যৌন নির্যাতনের স্বীকার না হন সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ভিডিওটি খুব সহজলভ্য হওয়ায় যে কেউ যেকোনো সময় দেখতে পারছে যা পরিবার ও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই আপত্তিকর ওই ভিডিওটিও নেটওয়ার্ক থেকে সরিয়ে ফেলার দাবি জানাই।
গত বৃহস্পতিবার থেকে জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তাঁর গোপনীয় শাখার অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমীন সাধনার আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জামালপুরসহ সারা দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় গত রোববার আহমেদ কবীরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাধনার বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সাধনা গতকাল সোমবার ডিসি অফিসে কর্মস্থলে এসে অচেতন হয়ে পড়েন। ওই সময় তাঁর হাতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে একটি ছুটির আবেদনপত্র দেখা যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কেউ কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই দ্রুত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি। অফিস চলার সময় অসুস্থবোধ করায় আজ ২৭ আগস্ট থেকে তিন দিনের ছুটির কথা উল্লেখ করে আবেদন করেন সাধনা।