চুরি ফাঁস হওয়ার ভয়ে ছোট ভাইকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা!
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নিজের চুরির ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে শিশু ছোট ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে কিশোর বড় ভাই (১৪)। এ ঘটনায় বড় ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত ছোট ভাইকে (৯) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, গোসিঙ্গা গ্রামের মনির হোসেনের বড় ছেলে গোসিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। ছোট ছেলে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। তিন দিন আগে ফুফুর ঘর থেকে ১৭ হাজার টাকা চুরি করে বড় ছেলে। ছোট ছেলে এ চুরির ঘটনা দেখে ফেলে। পরে চুরির ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ছোট ভাইকে অনুরোধ করে বড় ভাই। কিন্তু বড় ভাইয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ঘটনাটি তার বাবাকে জানিয়ে দেবে বলে জানায় ছোট ভাই। অনুরোধের পরও আশ্বস্ত হতে না পেরে নিজের চুরির ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে ছোট ভাইকে গলা কেটে হত্যার পরিকল্পনা করে বড় ভাই।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশীষ কুমার দাস ও এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার সকালে স্কুলে পৌঁছে দিতে বাড়ি থেকে ছোট ভাইকে নিয়ে রওনা হয় বড় ভাই। কিছু দূর যাওয়ার পর সড়কের পাশে একটি পরিত্যক্ত পোলট্রি ফার্মের টয়লেটের ভেতর তাকে নিয়ে যায় বড় ভাই। সেখানে ধারালো ব্লেড দিয়ে গলা কেটে ছোট ভাইকে হত্যার চেষ্টা করে সে। এ সময় ছোট ভাই চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর উপস্থিতির টের পেয়ে বড় ভাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছোট ভাইকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বড় ভাইকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফতেহ আকরাম জানান, ধারালো কিছুর আঘাতে ওই শিশুর শ্বাসনালির কিছু অংশ কেটে গেছে। হাসপাতালে আনার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।