পাবনার কোটিপতি সাব-রেজিস্ট্রার গ্রেপ্তার
দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় পাবনা সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইব্রাহিম আলীকে (৫৭) গ্রেপ্তার করেছে দুদক। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাবনা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ঢাকার দারুস সালাম থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ওই থানায় তাঁর নামে দুদকের আরেকটি মামলা আছে।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের ঢাকার সহকারী পরিচালক গোলাম মওলা এই গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাবনা ও ঢাকায় সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইব্রাহিম আলীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধেও মামলা করে।
সূত্র জানায়, এ সময় তদন্তে ঈশ্বরদী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে দোতলা বাড়ি, ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে একটি দামি ফ্ল্যাট, একটি বিলাসবহুল গাড়ি, দাশুড়িয়া অগ্রণী ব্যাংকে সঞ্চয় হিসাবে ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬২ টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ঈশ্বরদী শাখায় পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৮০৭ টাকার এফডিআর, তাঁর মেয়ে তানজিলা আফরিনার নামে পাবনা শহরের খেয়াঘাটপাড়ার সপ্তম তলায় দামি একটি ফ্ল্যাট, তানজিলার নামে সিটি ব্যাংক পাবনায় এক কোটি টাকার এফডিআর, একই ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবে ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩ টাকা জমা থাকার বিষয়ে দুদক নিশ্চিত হয়। এ দুটি হিসাবের নমিনি পাবনা সদরের সাব-রেজিস্ট্রার ইব্রাহিম আলী। তাঁর মেয়ের এ টাকা বিদেশে ফরেন রেমিটেন্সের মাধ্যমেও জমা হয়নি। তাঁর নামে কোনো কর নথিও খোলা হয়নি।
সাব-রেজিস্ট্রার মো. ইব্রাহিম আলী অসাধু উপায়ে এ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন বলে দুদক অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদক প্রধান কার্যালয় ইব্রাহিম আলী, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
দুদক কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, আমরা আদালতের আদেশে সাব-রেজিস্ট্রার ইব্রাহিম আলীকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।