‘ধর্ষণে’ স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, ছাত্রলীগ নেতা পলাতক
পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতা বিয়ে না করে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে মেয়েটির পরিবার।
এদিকে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল হক টুটুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহা. নীরব হোসাইন আমার ইউনিয়নের একটি স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক করে আসছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। ফলে মেয়েটি সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মেয়েটি বিয়ের জন্যে চাপ দিলে নীরব এক সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে আছেন।
এদিকে নীরব আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তবে আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সঠিক বিচার নিশ্চিত করার পক্ষে। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি যেন তার গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি পায় এটাই আমরা চাই।’
ছাত্রলীগ নেতা নীরবের চাচা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা স্থানীয়ভাবে তাদের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের এক নেতা ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি এলাকায় এলেই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।’
ভুক্তভোগী ওই পরিবারের লোকজন জানান, নীরব দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভনে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি জানাজানি হলে ও ছাত্রলীগ নেতা নীরব পালিয়ে যান।
এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়েটি বর্তমানে লোকলজ্জার ভয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। অনিশ্চয়তায় পড়েছে মেয়েটির শিক্ষাজীবন। স্থানীয়রা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি ও নিশ্চিত হয়েছি।’
কারোর ব্যক্তিগত দায়ভার ছাত্রলীগ নেবে না বলে উল্লেখ করে ইমরান আরো বলেন, ‘শোকের মাস বলেই তাঁকে দলীয়ভাবে বহিষ্কার করা হয়নি। তবে তাঁকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার করা হলেও লিখিতভাবে অচিরেই করা হবে।’