২০১৯-২০ অর্থবছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা গত বছরের বরাদ্দের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছর বরাদ্দ ছিল ১৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

আজ রোববার দুপুরে ডিএসসিসির নগর ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য মোট তিন হাজার ৬৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

মূল বাজেট ঘোষণার শুরুর সময় মেয়র সাঈদ খোকন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিবারের জন্য সমাবেদনা জানান। তিনি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করে মূল কার্যক্রম শুরু করেন। পরে মশক নিধন নিয়ে কথা বলার সময় মেয়র বলেন, ‘এবার দেশে এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রবণতা বেশি থাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে বিগত যেকোনো অর্থবছরের তুলনায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’

মশক নিধন কার্যক্রম নিয়ে কথা বলার সময় সাঈদ খোকন বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের টার্গেট করে এরই মধ্যে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন ভবন, স্থাপনা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত যাচ্ছেন এবং যেখানে অসঙ্গতি দেখছেন সেখানে জরিমানা ও জেল দেওয়া হচ্ছে।’

মশক নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন পাঁচ বছর মেয়াদি একটি বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর আওতায় জনবল বৃদ্ধি করে কমিউনিক্যাবল ডিজিস অ্যান্ড রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট নামের একটি স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করা হবে।’

মেয়র আরো বলেন, ‘মশক নিধনে স্পেশাল প্রোগ্রাম চালুসহ ৫৭টি ওয়ার্ডে নিয়মিতভাবে লার্ভিসাইডিং এবং ফগিং কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি করপোরেশনের অধীন জলাশয়গুলোর কচুরিপনা ও আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। পাঁচটি অঞ্চলের মশক কর্মীদের চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে মোটিভেট করা হয়েছে।’

এ ছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের ব্যয়ের খাতগুলো উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন,  ‘ব্যয়ের খাতগুলো হলো বেতন-ভাতা বাবদ ৩৫০ কোটি টাকা, জ্বালানি, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ৭৯ কোটি টাকা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৩৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাবদ ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, ভাড়া, রেটস ও কর খাতে সাত কোটি টাকা, সরবরাহ বাবদ ৩৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’