প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাংবাদিক মামুনকে স্মরণ
বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) সিনিয়র রিপোর্টার মামুনুর রশিদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছরের এই দিনে নিজের জন্মদিনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তরুণ সাংবাদিক মামুনুর রশিদ।
দিনটি উপলক্ষে ইটিভি কার্যালয়ে আজ বাদ আসর এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটরিয়ামে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক মামুনুর রশিদের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন আবেগঘন পোস্ট দিচ্ছেন তাঁর ঘনিষ্ঠজন, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা।
মামুনুর রশিদকে স্মরণ করে নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন লিখেছেন, ‘আহারে মামুন। যেখানেই থাকুক, হাসিমুখে থাকুক আমাদের মামুন।’
আশরাফুল আলম খোকন আরো লিখেন, ‘ঠিক এক বছর আগে, আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে মামুন। দিয়ে গেছে নতুন গল্প। সময়ের সাথে যে গল্পেরও বয়স বাড়ে, ধরন বদলায়। তবে যে গল্পটা এতদিন ততটা উঠেনি আড্ডায়, গল্পে, আলোচনায়, মামুনের মৃত্যুর পর থেকে তাও শুরু হয়েছে। এখন কত অবলীলায় সবাই মৃত্যুর গল্প করি, মামুনের মৃত্যুর। ভেতরে ভেতরে হয়তো অনেকে বুকচাপা কষ্ট লুকিয়ে রাখে, কারো চোখে গড়িয়ে পড়ে দুফোঁটা জল। আবার কারো হয়তো তেমন কিছু মনেই পড়ে না। জীবনের বাস্তবতায় দৃশ্যমান অনেক কিছুই যখন দৃষ্টি এড়িয়ে যায়, তখন অদৃশ্য কিছু তো মনে নাই পড়তে পারে। তবে এটাও সত্য যে মামুনকে ভুলে যাওয়া কঠিন। মামুনের মতো কাউকে ভোলা সহজ নয়। তাই তো পরিচিত সবার কাছে ভীষণ রকমের নাড়া দিয়ে যাওয়া এক মৃত্যুর নাম মামুন। আরো পরিণত হলে কতটুকু বদল হতো মামুনের কে জানে? তবে এখন সবার মনে চিরতরে আটকে যাওয়া মামুনের ছবিটা রয়ে যাবে হাসিমুখের। যেখানেই থাকুক, হাসিমুখেই থাকুক আমাদের মামুন।’
নড়াইলের লোহাগড়ায় জন্মগ্রহণ করা মামুনুর রশিদ ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা মামুন তখন একুশে টেলিভিশনে কর্মরত ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী বিটের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে তিনি এশিয়ান টিভি ও বাংলাভিশনেও কর্মরত ছিলেন।