পাবনায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ, পরে এক ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে
পাবনার সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে (৩৩) গণধর্ষণের পর মামলা না নিয়ে পুলিশ এক ধর্ষকের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গৃহবধূর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী ও তিন সন্তান রয়েছে। গত ২৯ আগস্ট রাতে ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে নিয়ে যান রাসেল ও হোসেন আলী নামের দুই যুবক। তাঁকে তিনদিন আটকে রেখে রাসেল ও হোসেনসহ পাঁচজন ধর্ষণ করেন। এর মধ্যে ওই নারী কোনোমতে পালিয়ে গিয়ে তাঁর বাবাকে বিষয়টি জানান। পরে বাবা ও স্বজনদের সহায়তায় গত ৫ সেপ্টেম্বর পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন ওই গৃহবধূ। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ওই দিন বিকেলে ওই নারী অভিযুক্ত রাসেলসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলার জন্য সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)ওবাইদুল হক ঘটনা তদন্তের জন্য উপপরিদর্শক (এসআই) ইকরাম হোসেনকে দায়িত্ব দেন। এসআই ইকরাম হোসেন একই দিন রাতে ধর্ষক রাসেলকে গ্রেপ্তারও করে। এর পর ওই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের তদবিরে ওসি ওবাইদুল হক অভিযোগটি মামলা হিসেবে না নিয়ে মীমাংসার নাম করে ধর্ষক রাসেলের সঙ্গে নারীর বিয়ে দিয়ে ঘটনার বিচার নিষ্পত্তি করেন।
এ বিষয়ে পাবনা থানার এসআই ইকরাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
ওসি ওবাইদুল হক ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়ে ও ছেলে উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।