‘স্বৈরশাসন বিদায় করতে রাজপথে লড়াইয়ের বিকল্প নেই’
গণফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকের অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার নেই। এমনকি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।’
আজ শনিবার বিকালে মহানগর নাট্যমঞ্চে বক্তারা আরো বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র আবার ফিরিয়ে আনতে এবং স্বৈরশাসনকে বিদায় করতে রাজপথে লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই। এজন্য সবাইকে ঐকবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান বক্তারা।
গণফোরামের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপি ও অন্যান্য দলের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তাঁরা বলেন, ‘রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন দরকার।’ দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার নেই অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে ৪৮ বছর আগে এজন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘কেন আজ বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই? কেন আজ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের স্বাধীনতা নেই? দরকার হলে রাজপথে রক্ত দিয়ে পুনরায় এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাতের বেলা ভোট ডাকাতি করে গিনেজ বুকে ঠাঁই করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যত বড় দলই হোক, একা আন্দোলন করে পৃথিবীর কোথাও স্বৈরাচারকে হটানো যায় না। বাংলাদেশে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, বামপন্থী ঐক্যবদ্ধ হয়ে একই প্ল্যাটফর্মে এলে এই স্বৈরাচারী সরকার এক ঘণ্টাও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’
রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
মান্না বলেন, ‘আমাদের ওপর নির্যাতন, শোষণ নিষ্পেষনের একটার পর একটা হাত যখন বিস্তৃত হচ্ছে তখন আমরা শান্তির বাণী শোনাচ্ছি। এই সরকার কেবল নিজের দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়লাভ করতে পেরেছে। সমগ্র বিশ্বের কারো বিরুদ্ধে তার লড়াই করার ক্ষমতা নাই।’
স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ৭২ এর সংবিধানের মূলনীতিগুলো প্রতিপালনের আহ্বান জানান গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মানুষ ন্যায়ের পক্ষে, সুশাসনের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে, সংবিধানের মূলনীতির পক্ষে।’
দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও বলেন বক্তারা।