কণ্ঠশিল্পী আসিফের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ অক্টোবর
শিল্পী শফিক তুহিনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ। আগামী ১৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ১১ জুন ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী আসিফের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বছরের ৪ জুন সন্ধ্যায় দায়ের করা এ মামলার এজাহারে শফিক তুহিন অভিযোগ করেন, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ‘সার্চলাইট’ নামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীর ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেন।
এরপর গত বছরের ৫ জুন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শিল্পী ও সুরকার শফিক তুহিনের দায়ের করা মামলায় আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আসিফ আকবর ছাড়া আরো চার-পাঁচজন অজ্ঞাত আসামি রয়েছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, আসিফ আকবর ‘আর্ব এন্টারটেইনমেন্টে’র চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
পরে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শফিক তুহিন গত বছরের ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এ ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য করেন এবং হুমকি দেন।
মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই বছরের পরের দিন ৩ জুন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তাঁর প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। ভিডিওতে আসিফ আকবর গীতিকার শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন—এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তাঁকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন।
মামলায় আরো বলা হয়, আসিফ আকবরের এই বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে তাঁর (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।