মনের শান্তি কেড়ে নিয়েছে এই সরকার : সোহেল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য লাখ লাখ নেতাকর্মীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সরকার আমাদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। মনের শান্তিও কেড়ে নিয়েছে।’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন সোহেল। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সোহেল বলেন, ‘বেগম জিয়ার জন্য আজকে মায়েরা কান্না করছে, বাবারা কান্না করছে, ভাইয়েরা কান্না করছে, বোনেরা কান্না করছে। লাখ লাখ বিএনপির নেতাকর্মীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমাদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, মনের শান্তি কেড়ে নিয়েছে এই সরকার। আজকের এই সমাবেশ থেকে বলে দিতে চাই শেখ হাসিনা যদি অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেন আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
সোহেল আরো বলেন, ‘আমাদের নেত্রী হুইল চেয়ারে থাকা মানে বাংলাদেশের মানবাধিকার হুইল চেয়ারে থাকা। সত্যিই বাংলাদেশের মানবাধিকার আজ হুইল চেয়ারে, বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ হুইল চেয়ারে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এমনকি সমগ্র বাংলাদেশ আজ হুইল চেয়ারে।’
বেগম জিয়ার ত্যাগের কথা উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এই সভাপতি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নেত্রী আছেন কি না, আমার জানা নেই, যিনি তাঁর সারা শরীরে মনেপ্রাণে দেশকে বহন করছেন, ধারণ করছেন। তিনি আবারও প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশ মানেই বেগম খালেদা জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া মানেই বাংলাদেশ।’
সোহেল বলেন, ‘কিছুদিন আগে প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর অপরাধ আমাদের নেত্রী মুক্ত থাকলে বাংলাদেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায়। না। তিনি মুক্ত থাকলে সাত হাজার টাকায় বালিশ কেনা যায় না। ৩৭ লাখ টাকায় পর্দা কেনা যায় না। তিনি মুক্ত থাকলে শেয়ারবাজার লুট করা যায় না, তিনি মুক্ত থাকলে বাংলাদেশকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড বানানো যায় না। আজকে আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রেখে বাংলাদেশকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত করা হয়েছে। আমরা এটা কোনো দিনও মানতে পারি না। এটা কোনোভাবেই হতে দেব না।’
এ সময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষকদরের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কৃষকদল নেতা মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।