নরসিংদীতে রং ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যায় মামলা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নরসিংদীতে প্রকাশ্যে রং ব্যবসায়ী রুহুল আমীনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি ছারোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন বৌয়াকুড় এলাকার ছারোয়ার (৫৫), তাঁর ছেলে তানভির (২৮) ও তানজিদ (২৪), পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার ছোটন (৩৪), দাশপাড়া এলাকার মনির (২৮), বৌয়াকুড় এলাকার নয়ন (২৩) ও পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার হৃদয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শহরের সংগীতা এলাকায় ডিস ব্যবসা করে আসছিলেন ছারোয়ার। গত দুই বছর আগে ছোটন ও নিহত রুহুল আমীন অংশীদারত্বের ভিত্তিতে সারোয়ারের ব্যবসায় যুক্ত হন। কিন্তু এক বছর ধরে অভিযুক্ত ছোটন নিহত রুহুল আমিনকে কোনো লভ্যাংশ দিতেন না। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য ও কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গত সপ্তাহে ছোটন দলবল নিয়ে রুহুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরো বাড়ে। এরই জের ধরে গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্ত মনির রুহুল আমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে জবা টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন একটি মাঠে নিয়ে যান। সেখানে তানভির, তানজিদ হৃদয়, ছোটন ও মনির তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় রুহুল মাটিতে পড়ে যান। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোক এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
পরে আহত রুহুলকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত রুহুলের বড় ভাই শরিফুল বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপারীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি ছারোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, ‘নিহত রুহুলের ভাইয়ের মামলায় আসামি ছারোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।