প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে রাব্বানীর চিঠি, শোভনও দেবেন
ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখা কমিটি করার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন, বিতর্কিতদের কমিটিতে স্থান দেওয়া, সম্মেলনের পরও একাধিক শাখায় কমিটি না দেওয়া, দুপুরের আগে ঘুম থেকে না ওঠা, অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েও নির্ধারিত সময়ের অনেক পর উপস্থিত হওয়া, সভাপতির বিয়ের অভিযোগ, সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলাসহ নানা অভিযোগ জমা পড়েছে সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
আর এসব বিষয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর দলের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরার জন্য গত মঙ্গলবার গণভবনে যান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাননি বলে গণভবন সূত্র জানিয়েছে। বরং গণভবনে শোভন-রাব্বানীর প্রবেশের অনুমতি সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে বলে একটি বিশ্বস্ত সুত্র নিশ্চিত করেছে।
তবে দেখা করতে না পেরে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জি এস গোলাম রাব্বানী। ওই চিঠিতে দুই নেতার (শোভন ও রাব্বানী) আত্মপক্ষ সমর্থন করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। চিঠিটি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি দেখাশোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতার একজনের কাছে দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিটি হাতে পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক নেতা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এনটিভি অনলাইনকে বলেন ‘আমি এখনো চিঠি দিইনি; তবে দেব। আর গণভবনে প্রবেশের পাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয়। নেত্রী রাগ করেছেন, বলেছেন ওরা যেন আমার সামনে না আসে, না পড়ে।’