শ্যামলী বাসের চাপায় দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজন নিহত
কুমিল্লায় বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চাপায় দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের চালক ও সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমতি গ্রামের মুন্সি বাড়ীর বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির মুন্সীর একমাত্র ছেলে তৌকির আহমেদ সজল (২৬), একই গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে কাজল হোসেন (২৮) এবং ওই উপজেলার সানন্দা গ্রামের সাদেক হোসেনের ছেলে মো. শাহীন (২৫)। এর মধ্যে সজল সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কাজল একই কমিটির অর্থ সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সদর দক্ষিণ উপজেলা সদর থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে সজল, কাজল ও শাহীন মোটরসাইকেলে করে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের দিকে আসছিলেন। এ সময় হাইওয়ের পাশে অবস্থিত হোটেল নূরজাহান থেকে যাত্রাবিরতি শেষে বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ইউটার্ন করতে গিয়ে ওই মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মোটরসাইকেলের তিন আরোহীর একজন। ছবি : এনটিভি
দুর্ঘটনার পর শ্যামলী পরিবহনের বাস এবং এর চালক আমিনুল হক ও সহকারীকে আটক করে পুলিশ। আমিনুলের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়।
এলাকাবাসী জানান, হোটেল নূরজাহানে প্রবেশ করতে চট্টগ্রামমুখী গাড়িগুলো উল্টো পথে ঢুকে এবং বের হয়। এতে প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার বলেন, নিহতদের মধ্যে কাজল ও সজল উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। ছাত্রলীগের একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) টিপু রায় জানান, দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।