‘শোভন-রাব্বানী অপরাধী, তাদের বিচার করতে হবে’
চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সোহেল বলেছেন, ‘শুধু তাঁদের পদচ্যুত করলেই হবে না। তাঁরা অপরাধী, তাঁদের বিচার করতে হবে। আজকের এই মানববন্ধন থেকে বলতে চাই, যাঁরা সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছেন, ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন, তাঁদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁদের বিচার হবে না, এমনটি হতে পারে না।’
সোহেল বলেন, ‘এদের (শোভন-রব্বানী) তো বয়স বেশি না। এদের তো গডফাদার আছে। বড় ভাই আছে। যারা এদেরকে চাঁদাবাজি শিখিয়েছে। শুধু এই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই হবে না; যারা এদেরকে চাঁদাবাজি শিখিয়েছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জানি, হয়তো ওবায়দুল কাদের সাহেব কালকেই বলবেন ৮৬ কোটি টাকা কি কোনো টাকা হলো? তিনি বলবেন-ই বা না কেন, যে দেশে পর্দার দাম ৭০ হাজার টাকা আর বালিশের দাম পড়ে সাত হাজার টাকা, সেই দেশে কাদের সাহেবদের জন্য ৮৬ কোটি টাকা তো কোনো টাকাই না!’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘দুর্ভাগা’ উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এই সভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে দুর্ভাগ্যবান বলছি এই কারণে যে, দেশে এখন নিম্ন আদালতে বিচার পাওয়া যায় না, উচ্চ আদালতে বিচার পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু আমাদের নেত্রী দুর্ভাগ্যবান এই কারণে যে, তিনি নিম্ন আদালতের বিচার তো পেলেনই না, উচ্চ আদালতের বিচার থেকেও বারবার বঞ্চিত হচ্ছেন।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সাজা হওয়ার পরেও নাজমুল হুদা, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ অসংখ্য নেতা জামিনে মুক্ত হয়ে মুক্তবিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ কোর্টের ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে আমাদের নেত্রীকে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি জামিন পান না। এর নাম কি ন্যায়বিচার?’
বিচারকদের উদ্দেশে সোহেল বলেন, ‘আমরা কী বলব আপনাদের? ইহকালে যদিও পার পেয়ে যাবেন, কিন্তু পরকালে যে আদালত বসবে সেখানে কিন্তু আপনারা বিচারকের চেয়ারে বসবেন না। আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াবেন। আমাদের নিরপরাধ নেত্রী জামিন পাবেন না, অথচ হুদা সাহেব-মায়া সাহেবরা মুক্তবিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াবেন, এটা আমরা মানতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করুন। অনতিবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দিন। জনতার আদালতে যখন জনগণ তাদের রায় বাস্তবায়ন করতে যাবে, পৃথিবীর এমন কোনো শক্তি নাই তখন আপনার বিচার ঠেকিয়ে রাখতে পারে।’